Third-Year Student or Criminal? Army Didn’t Care to Ask

Third-Year Student or Criminal? Army Didn’t Care to Ask

বাংলাদেশ আর্মির সাথে ৩০ মিনিটের এক্সপিরিয়েন্স!”ঘটনা রবিবার রাতের, জিনিসটা প্রসেস করে পোস্ট করতে সময় লেগে গিয়েছে।

তারিখ: ২২.০৬.২০২৫

সময়: রাত ৩:১৫

গন্তব্য: হল (মিরপুর ডিওএইচএস)

ভার্সিটির ১০ জন টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ফিরছি। নেত্রকোনা থেকে বাসে উঠি রাত ১১:০০ টায়।বাস রাত ৩:০৫/১০ এর দিকে খিলক্ষেত নামায়। ১০ জন ৩ টা সিএনজি নিলাম, ১ টায় ৪ জন বাকি ২ টায় ৩ জন করে। আমি, আমার ২ সিনিয়র ১ সিএনজি তে উঠি। কুর্মিটোলা পার হয়ে পুলিশের চেকপোস্টে হলের আইডি কার্ড শো করি, চলে যেতে বলে। ইসিবি পার হয়ে কালশী স্টিল ব্রীজের উপর এসে আর্মি চেকপোস্টে সিগন্যাল দেয়, সিএনজি সাইড করে, আমাকে জিজ্ঞেস করে, “কোথায় যাবেন?” আইডি কার্ড শো করে বলি ভার্সিটি থার্ড ইয়ার এর স্টুডেন্ট, হলে যাচ্ছি, ট্যুর থেকে আসছি। ২ জন সৈনিক ছিলো, সাথে ২ জন পুলিশও ছিলো, বের হতে বলে। বের হয়ে সব বললাম, বাস ১১ টায় ছিলো, ৩ টায় নামিয়ে দিছে। আইডি পড়তে পারছে কিনা জানিনা, পড়তে পারলে সবচেয়ে ফানি কথা বলতো না, একবার বলে “আপনারা ঘুরতে গেছেন আপনাদের কি কলেজ থেকে পাঠিয়েছে?” আবার বলে “স্কুলে বলে গেছেন?” “হলে আপনার স্যার রুম চেক করেনা যে রুমে নেই আপনার?” এরপর বলে কল দেন স্যারকে। কথা না বলে ছাড়বোনা। যারা চলে গেছে তাদের আসতে বলে।

এমন না যে আমাদের সার্চ করে বা ব্যাগ চেক করে কিছু পেয়েছে। কিছু চেকই করেনাই!

স্বাভাবিক ভাবেই রাতের ৩ টায় কোনো স্যার কল ধরেনাই। ওই মোমেন্টে কাওকে না পেয়ে কল দেই আমার এক ফ্রেন্ড, ক্যাপ্টেন আর্মি তে। এটাই ছিলো আমার ভুল।

ওর সাথে সৈনিক কথা বলে, এরপর আমাকে বলে, “সাইডে আসেন। কাকে কল দিছেন আপনি? উনাকে কেন কল দিছেন?”

আমাকে ৪ আঙুল দিয়ে পুশ করে, পাশেরজনকে বলে, “এই লাঠিটা দে তো!

”আমি বলি, “আপনি গায়ে হাত দিলেন কেন? লাঠি নিয়ে থ্রেট দিতে চাচ্ছেন?

”তখন বলে, “আপনি দাঁড়ান। সিনিয়র আসতেছে!”

পাশে একজন জেসিও ছিলো মনে হয়, উনি আমাদের সাথে কথা বলেন, সব কিছু বুঝে তিনি ছেড়ে দিতে চাইলেন কিন্তু সৈনিক ২ জন সিনিয়র ছাড়া ছাড়বে না। তাদের নাকি দাদা আছে একজন, দাদা আসলে আমাদের ল শিখায় দিবেন। তো আমরা দাদা এবং সিনিয়রের জন্য ওয়েট করতে করতে ২ জন পুলিশের জ্ঞান শুনছি, আমার ভবিষ্যতে কিছু হবেনা আমার।

সিনিয়র আসলেন ২ প্লাটুনে প্রায় ৩০-৪০ জন, আর্মির ২ পিকআপ। সিনিয়র অফিসার গাড়ি থেকে নেমে আমাদের কাছে এসে বলে, “আপনাদের মধ্যে কে কথা বলবেন? আমিও ল স্টুডেন্ট, কি হয়ছে বলুন।”

হলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা হয় এতক্ষণে, আমি নাকি ২ জন সৈনিকের সাথে বেয়াদবি করছি। স্যারের সাথে কথা বলার পরেও ছাড়েনি আমাদের।

সৈনিকদের মুখে কথা একটাই, “কই ওয়?” কথা বলতে বলতে সৈনিকদের মধ্যে একজন আমাকে টেনে গাড়ির পাশে নিয়ে ৮-১০ জন মিলে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। ৩০ সেকেন্ডে ৫০/৬০ টা হিট পরে আমার পশ্চাৎ দেশে। প্রসেস করার আগেই দেখি একজন আমার ঘাড় নামাতে চাচ্ছে যেন ভালোমত পেটাতে পারে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি তো আছেই। কয়েকটা হিট হাতে লাগে, এক আঙুলে কাটে, আরেকটায় রক্ত জমে যায়। এরপর অফিসার ডাকে, তখন আবার ওখানে নিয়ে যায় আমাকে।

এরমধ্যে তাদের “দাদা” পৌঁছায় স্পটে, আবার আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আরেকবার বস্তা পেটানোর মতো পেটানো হয়। অফিসার টের পেয়ে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সবার আইডি কার্ড চেক করে চলে যেতে বলেন। এরমধ্যে ৩ বার সিএনজিতে উঠি, ৩ বার আমাকে নামায় পেটানোর জন্য। সিএনজি ডানপাশ দরজা বন্ধ থাকায় ড্রাইভার কে ২/৩ বার বলে দরজা খুলিয়ে নামায়। দাদা এইবার বলেন কান ধরতে, কান ধরে বসতে। বলতে বলে, “আর জীবনে এমন করবনা। আমার ভুল হইছে। আমার শিক্ষা হইছে।” এরমধ্যেও হিট করা হয় কয়েকবার। এই ২৫-৩০ মিনিটের ভিতর কমপক্ষে ২৫০-৩০০ বার হিট করা হয় আমাকে। ছবি দেখলেই বুঝা যাবে। পকেটে ফোন ছিলো, ফোনের ছবিও দিয়ে দিয়েছি।

লাস্টলি, অফিসার নিজে দাড়িয়ে সিএনজিতে উঠায় ৩ জনকে। বাকি ৪ জনকে বারবার বলে “রাস্তার ওইপাশে চলেন, আপনাদের গাড়িতে উঠিয়ে দিই।” অফিসারের নজর থেকে সরিয়ে তাদেরও একই ট্রিটমেন্ট দেওয়ার ইচ্ছা ছিলো তাদের। কিন্তু অফিসার থাকায় হয়তো এটা সম্ভব হয়নি।

রবিবার দুপুরে ভার্সিটির মেডিকেলে গিয়ে সব বলি, ঔষধ, ওইন্টমেন্ট দেয়। এরপরে সোমবার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল মিরপুরে যাওয়ার পর সব শুনে বেড রেস্ট দেয়। আপাতত এটাই আপডেট।